সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ১০:১২ পূর্বাহ্ন
ধামরাইয়ে মামার বাড়িতে ওমর ফারুক বাবু (১৭) নামে এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রের পুকুরে ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার আমতা ইউনিয়নের বড় নারায়ণপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের পুকুরে ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওমর ফারুক বাবু কাইটামারা গ্রামের মৃত বদিরুদ্দিনের ছেলে। নিহত বাবু ধামরাই উপজেলার আমতা ইউনিয়নের বড় নারায়ণপুর গ্রামে মামার বাড়িতে থাকতো।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত ওমর ফারুকের বাবা খুন হওয়ার পর মামা মো. রফিকুল ইসলাম মাস্টার ভাগ্নে ওমর ফারুককে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। মামা হলেও তিনি পিতৃস্নেহে লালন-পালন করতে থাকেন ভাগ্নে ওমর ফারুককে। গত বুধবার বেলা বারোটার দিকে বাবুর ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ থাকে। রাত হলেও বাড়িতে না ফিরলে দুশ্চিন্তায় পড়েন পরিবারের লোকজন। সম্ভাব্য সবস্থানে ওমর ফারুককে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম নিহতের মামা রফিকুল ইসলামের বাড়ির সামনে পুকুরে মরদেহ ভাসতে দেখেন। বিষয়টি কাওয়ালিপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি পুকুর থেকে ডাঙ্গায় তুলেন।
এ ব্যাপারে নিহত কলেজ ছাত্রের মামা রফিকুল ইসলাম বলেন, দিনের বেলায় ওকে না পেয়ে মনে করি রাতে অবশ্যই ফিরে আসবে। রাতেও যখন বাড়িতে আসার কোন নাম গন্ধও নেই তখন দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। সকালে মিলল তার মরদেহ। যেমন ওর বাবাকে হত্যার পর নদীর পাড়ে ফেলে রেখেছিল ঠিক তেমনি ওকে হত্যা করে পুকুরের পানিতে ফেলে রাখে অজ্ঞাত খুনিরা। ভাগ্নের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাকে আমার কাছে এনেও আমি তাকে বাঁচাতে পারলাম না।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।